জিয়াউল হক জিয়া ফাউন্ডেশন

"জনকল্যাণে অঙ্গীকার, জিয়াউল হক জিয়ার আদর্শে পথচলা"

ফাউন্ডেশন সম্পর্কে

জিয়াউল হক জিয়া ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান, যা প্রয়াত চারবারের সংসদ সদস্য ও প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়নে গঠিত। ফাউন্ডেশনটি লক্ষ্মীপুর‑১ আসনে (রামগঞ্জ‑কমলনগর‑রায়পুর আংশিক) শিক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন, খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতা, কৃষি উন্নয়ন, মানবাধিকার প্রচার, স্বাস্থ্যসেবা, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও সহনশীলতা বৃদ্ধি, এবং তথ্য‑প্রযুক্তি‑ভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়ন (বিশেষত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ)–এ একীভূত, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাজ করবে।

কেন “জিয়াউল হক জিয়া” ফাউন্ডেশন গঠিত হয়েছে?

লক্ষ্মীপুর-১ সংসদীয় আসন, যেখানে রামগঞ্জ, কমলনগর ও রায়পুরের অংশবিশেষ অবস্থিত, এটি একটি জনবহুল এলাকা হলেও এখানকার অনেক মানুষ এখনও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নের মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বিশেষ করে গ্রামীণ ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নানামুখী সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।

এই অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থা এখনও নানা প্রতিবন্ধকতায় জর্জরিত। দরিদ্র পরিবারগুলোর সন্তানরা ঝরে পড়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী অর্থাভাবে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি, নিরাপদ পানি ও পুষ্টির অভাব এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসার সংকট এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করে।

বছরের বিভিন্ন ঋতুতে কৃষিভিত্তিক জীবিকায় নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীকে নানা প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। বর্ষায় জলাবদ্ধতা ও রাস্তাঘাটের কর্দমাক্ত অবস্থা, শীতে শীতবস্ত্রের অভাব, গ্রীষ্মে পানির সংকট এবং পরিবেশগত ঝুঁকি মানুষকে অসহায় করে তোলে। পাশাপাশি, যুবসমাজের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের সুযোগ সীমিত, যার ফলে কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে।

এই বাস্তবতাকে কেন্দ্র করেই জিয়াউল হক জিয়া ফাউন্ডেশন গঠিত হয়েছে—প্রয়াত সংসদ সদস্য ও প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার আদর্শ ও মানবকল্যাণমূলক চিন্তাধারাকে বাস্তবে রূপ দিতে। ফাউন্ডেশনটি কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষায় প্রণোদনা, দারিদ্র্য হ্রাস, স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ, খেলাধুলায় অংশগ্রহণ বাড়ানো, কৃষি উন্নয়ন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্যোগে সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।

এই ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য হলো—একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও মানবিক সমাজ গঠন করা যেখানে প্রতিটি মানুষ উন্নয়নের সমান সুযোগ পাবে, স্বপ্ন দেখবে এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহস পাবে।

শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন

জিয়াউল হক জিয়া ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হলো—সকল জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক শিক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান এবং দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানে উৎসাহ দেওয়া, যাতে সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হয়।

জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

জিয়াউল হক জিয়া ফাউন্ডেশন জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকারভিত্তিক স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব লক্ষ্মীপুর-১ অঞ্চলের প্রান্তিক জনগণের জীবন ....

খেলাধুলা ও সংস্কৃতি

জিয়াউল হক জিয়া ফাউন্ডেশন খেলাধুলা ও সংস্কৃতিকে সমাজ গঠনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করে। তরুণ সমাজকে মাদক, সহিংসতা ও অবক্ষয় থেকে দূরে রাখতে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ....

ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম

খাদ্য নিরাপত্তা, জীবিকায়ন ও লিঙ্গসমতা

জিয়াউল হক জিয়া ফাউন্ডেশনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো—স্থানীয় সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জীবিকা উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়ন। ফাউন্ডেশনটি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, দরিদ্র কৃষক, নারী ....

দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান

জিয়াউল হক জিয়া ফাউন্ডেশন দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানকে উন্নয়নের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করে। লক্ষ্মীপুর-১ আসনের বহু পরিবার এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে, যাদের নেই নির্ভরযোগ্য ....

নারীদের জন্য কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ

জিয়াউল হক জিয়া ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে—নারীর ক্ষমতায়ন ছাড়া একটি সমাজের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারীরা পরিবার, সমাজ ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তবে অনেক নারীই সামাজিক ....